রাত পোহালেই শুরু হবে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এ অবস্থায় নগরের চার প্রবেশপথে মানুষের স্রোত নেমেছে। কোরবান শেষে তড়িঘড়ি করে বাড়ি থেকে নগরে ফিরছেন মানুষ।
এদিকে কঠোর বিধিনিষেধে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে তাই অনেকেই ছাড়ছেন নগর। সবমিলিয়ে নগরের চার প্রবেশপথ নতুনব্রিজ (শাহ আমানত সেতু), কাপ্তাই রাস্তার মাথা, অক্সিজেন মোড় ও সিটি গেইটে মানুষের স্রোত নেমেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে নগরের অক্সিজেন মোড়, একে খান গেইট, চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ও শাহ আমানত ব্রিজ এলাকায় ফিরতি মানুষের চাপ ছিল বেশি।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সোনার বাংলা ট্রেন বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশন এসে থামে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ঘোষিত নির্দেশনা মেনে আন্তঃনগর ট্রেনটি চট্টগ্রাম পৌঁছে। এ সময় যাত্রীদের নেমে গন্তব্যে চলে যেতে দেখা যায়। পরিবার-পরিজন নিয়ে ফিরে আসা মানুষের সংখ্যাই ছিল বেশি।
ট্রেনের যাত্রী একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা তামজিদ হোসাইন বলেন, ‘অফিস খুলবে রোববার থেকে। শুক্রবার থেকে সব গণপরিবহন বন্ধ । সে কারণেই ঈদের পরদিনই চট্টগ্রাম ফিরে আসতে হলো। পরে আসলে ঝামেলায় পড়তে হতো। তাই পরিবারের সবাই চলে আসলাম।’
আরেক ট্রেন যাত্রী গৃহিণী ইয়াসমিন হোসেন বলেন, ‘উপায় নেই। স্বামী সরকারি চাকরিজীবী। সীমিত পরিসরে তার অফিস খোলা থাকবে। আবার কাল (শুক্রবার) থেকে লকডাউন শুরু হচ্ছে। তাই একটু আগেভাগেই ফিরতে হলো।’
এদিকে চট্টগ্রাম ছাড়ার যাত্রীরাও ভিড় জমান স্টেশনে।
রেলস্টেশনের ভেতর টিকিট কাউন্টারের সামনে মানুষের লাইন দেখা যায়।
লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজন জানান, দীর্ঘ লকডাউনের কারণে তারা বাড়ি চলে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেকেই বেসরকারি চাকরিজীবী। লকডাউনে অফিস বন্ধ থাকবে তাই তারা বাড়িতে যাচ্ছেন।
নগরের অক্সিজেন মোড়, একে খান গেইট, শাহ আমানত ব্রিজ ও কাপ্তাই রাস্তার মাথায় ছিল মানুষের স্রোত। অনেকে গ্রাম থেকে শহরে ফিরছেন। আবার অনেকে শহর ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন। এসব এলাকার বাসের টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে ছিল মানুষের জটলা।
শাহ আমানত ব্রিজ এলাকায় কথা হয় নগরের একটি মার্কেটের বিক্রয়কর্মী জাহেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘লকডাউনে মার্কেট ও দোকান বন্ধ থাকবে। শহরে থেকে কী করবো। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি।’সূত্র : আচ